বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ
মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবােজ্জ্বল ও রক্তাক্ত অধ্যায়। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে পূর্ববাংলার মানুষ অর্জন করে স্বাধীন সার্বভৌম একটি দেশ। স্বাধীনতা হলাে একটি জাতির আজন্ম লালিত স্বপ্ন। স্বাধীন দেশের নাগরিক হওয়ার মধ্যে যেমন গৌরব থাকে, তেমনি পরাধীনতায় থাকে গ্লানি। আর তাই পরাধীন হয়ে কেউ বাঁচতে চায় না। দাসত্বের শৃঙ্খলে কেউ বাঁধা পড়তে চায় না। বাঙালি জাতিও চায়নি বছরের পর বছর ধরে শাসনে-শােষণে পাকিস্তানিদের দাস হয়ে থাকতে। তাই তারা শৃঙ্খল ভেঙে বেরিয়ে পড়েছিল আন্দোলনে, সােচ্চার হয়েছিল স্বাধীনতা সংগ্রামে। অবশেষে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে পেয়েছিল তাদের স্বপ্নের স্বাধীনতা।
বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র ট্রাস্ট - চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম শহরে যারা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তাদের বেশির ভাগ মুক্তিযুদ্ধের পর নিজ নিজ পেশাগত কাজে যুক্ত হয়ে যান। আমরা আশা করেছিলাম যুদ্ধতো শেষ, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আর কোন কাজের দরকার নেই। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লিখতে হবে তা ভাবিনি। ৭৯-৮০ সালের ভিতর মুক্তিযুদ্ধের উপর লেখা বেশ কয়েকটি বই আমাদের অনেকের দৃষ্টি কাড়ে। এর মাঝে চট্টগ্রাম শহর, বৃহত্তর চট্টগ্রামের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা কয়েকটি বই আমাদের ভাবিয়ে তুলে। আন্দোলনের কোন কথা এগুলোতে ছিল না, পড়লে মনে হবে মুক্তিযুদ্ধ বিচ্ছিন্নভাবে ৭১ সালেই শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম শহরের কয়েকটি ঘটনার উল্লেখ করে তাকে চট্টগ্রাম শহরের মুক্তিযুদ্ধ বলে চালানোর প্রয়াস নেয়া হয়েছে। যুদ্ধকালীন চট্টগ্রাম শহরের কোন কমান্ডারের নাম এতে ছিল না, কোন অপারেশনকারী যোদ্ধার নাম নেই। ...
আমাদের লক্ষ্য
ইতিহাস সংরক্ষণে অংশীদার হয়ে আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ঘটনাবলীর অনুসন্ধান করা ও যাচাই বাছাই সাপেক্ষে তা জনগণের সামনে তুলে ধরা। মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য সমূহ কি ছিল তা নতুন প্রজন্মকে জানানো এবং এই সব লক্ষ্য বাস্তবায়নের প্রতিবন্ধকগুলো চিহ্নিত করে তা দূর করার সম্ভাব্য উপায়গুলো বের করে তা জনগণকে জানানো।
বক্তৃতামালা ও সাক্ষাৎকার সমূহ
নাম | স্থান | প্রকাশের তারিখ | বিস্তারিত |
---|